আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনী মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশের যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহ হিফজুল করীম।
যুক্তরাজ্য থেকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসে দেশে ফিরে তিনি সরাসরি নির্বাচনী মাঠে নামবেন এবং গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের জনগণের সঙ্গে ঘরে ঘরে যোগাযোগ করবেন। তাঁর ভাষায়, “আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। জনগণের ভালোবাসাই আমার আসল শক্তি।”
শাহ হিফজুল করীম পূর্বে গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবারও তিনি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন, কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে জনগণের দাবিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমর্থকেরা প্রতিদিনই যোগাযোগ করছেন। সবাই বলছেন, এবার আপনিই এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। জনগণের এই আহ্বানেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শাহ হিফজুল করীমের মাঠে নামা আসন্ন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে।
তিনি আশাবাদী কণ্ঠে বলেন, “জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা পেলে আমি সিলেট-৬ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারব।”
সারা দেশের ন্যায় সিলেট-৬ আসনেও জোরেসোরে বইছে নির্বাচনি হাওয়া। আসনটির দুই উপজেলা (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় এ আসনের গুরুত্ব অন্যরকম।
ইতোমধ্যে বিএনপিসহ বড় সব দল অন্যগুলোর সঙ্গে সিলেট-৬ আসনেও নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে ধর্মভিত্তিক প্রাচীন রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মনোনীত প্রার্থী হলেন হাফেজ মাওলানা ফখরুল ইসলাম। তবে তাঁর ‘গলার কাঁটা হয়ে উঠেছেন’ প্রবাসী জমিয়ত নেতা শাহ হিফজুল করীম। তিনি ইতোমধ্যে সিলেট-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শীঘ্রই তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
শাহ হিফজুল করীম জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক।
জমিয়তের সিনিয়র এই নেতা জানান- ডিসেম্বরে তিনি দেশে আসবেন। প্রবাসে থাকলেও এরই মধ্যে তাঁর পক্ষে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ ও গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন কর্মী-সমর্থকরা।
জানা গেছে, এর আগে শাহ হিফজুল করীম গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার তিনি সিলেট- ৬ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে জনগণের ‘দাবি, ভালোবাসা ও প্রত্যাশাকে উপেক্ষা করতে না পেরে’ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রার্থিতার বিষয়ে শাহ হিফজুল করীম বলেন- ‘আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। জনগণের ভালোবাসাই আমার আসল শক্তি।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন- ‘জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা পেলে আমি সিলেট-৬ আসন থেকে বিজয়ী হয়ে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারবো ইনশা আল্লাহ।’
এদিকে, গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার উপজেলার কওমি ঘারানার বিভিন্ন ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান- দলীয় পলিসিতে হাফেজ মাওলানা ফখরুল ইসলামকে প্রার্থী দিয়েছে জমিয়ত। কিন্তু তাঁর থেকে সিনিয়র নেতা শাহ হিফজুল করীম স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে পাল্টে যেতে পারে ভোটের হিসাব-নিকাশ।
Leave a Reply